• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ মেসির ছেলে বলে কথা—নাটমেগ করার পর ফাউলের শিকার, এরপরও গোল ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে অলিম্পিকে পদক জেতা অনেক বড় ব্যাপার—বললেন মাশরাফি তিন সপ্তাহ পর কোচের দেখা পেলেন বাবর-শাহিনরা ম্যানচেস্টার সিটি যে ৫ কারণে প্রিমিয়ার লিগ জিতল যেভাবে পারফর্ম করেন, এবার সেভাবে চান না মেহেদী ক্লপের কথা বলতে গিয়ে চোখ ছলছল গার্দিওলার ক্লপ বিদায়ী বক্তব্যে বললেন, ‘আমিও কাঁদব’ কলকাতার দুশ্চিন্তা: ১০ দিনের বিরতি, সল্টের অভাব পূরণের চ্যালেঞ্জ ভারতের নাগরিকত্ব লাভের পর প্রথমবার ভোট দিলেন অক্ষয় কুমার পদ স্থগিতের পর ডিপজল জানালেন, ‘নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে’ ডিপজলের শিল্পী সমিতির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা অমিতাভ-অনিলের পথে হাঁটলেন জ্যাকি প্রথমবার ওয়েব সিরিজে এলিটার গান বার্বি সেজে বিপাকে কিয়ারা! হীরামান্ডি অভিনেত্রী শারমিনের স্বামী ৫৩,৮০০ কোটি রুপির মালিক!

‘২০ মিনিটেই করোনা পরীক্ষা, এন্টিবডি টেস্টই সর্বোত্তম বিকল্প’

একের পর এক ল্যাব বাড়িয়েও করোনা শনাক্তে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। অথচ মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই রক্তের নমুনা পরীক্ষায় এন্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে শতকরা ৯০ জন মানুষের করোনা শনাক্ত করা সম্ভব। এছাড়া এই টেস্টের মাধ্যমে সহজেই আলাদা করা যাবে, কারা এরইমধ্যে আক্রান্ত থেকে সেরে উঠে ঝুঁকিমুক্ত। এজন্য খরচও হবে কম এবং বর্তমান বাস্তবতায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সই যথেষ্ট। সুফল পেতে এখনই এন্টিবডি কিট আনতে তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মানসম্পন্ন ল্যাব, জনবলের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ও উচ্চমূল্যের কিট ব্যবহারের পরও প্রতিদিন গড়ে ১০০টি নমুনাও পরীক্ষা করতে পারছে না করোনা শনাক্তের একেকটি ল্যাব।

স্বল্প খরচে ব্যাপকভাবে পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই বিশ্বে সাড়া ফেলেছে এন্টি বডি টেস্টিং পদ্ধতি। ডেঙ্গু টেস্টের ন্যায় কয়েক ফোটা রক্ত নমুনা হিসেবে নিয়ে ১৫ থেকে ২০মিনিটেই ফলাফল দেয়া সম্ভব। স্বল্প প্রশিক্ষণে যে কোনো স্বাস্থ্য কর্মী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বসেই করোনা রোগীকে শনাক্ত করতে পারবেন।

বিএসএমএমইউ করোনা বিষয়ক টাস্কফোর্স শকারী সমন্বয় অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, খুবই সহজ টেস্ট এটা। মাঠেই করা যায়। কোনো এক্সপার্টও লাগবে না।

গবেষণা বলছে, আর্টিপিসিআর পদ্ধতিতে ১০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ৭০ জনকে সহজে শনাক্ত করা গেলেও আক্রান্ত ৩০ জনই থেকে যান শনাক্তের বাইরে। পক্ষান্তরে এন্টিবডি পরীক্ষায় আক্রান্ত হবার ৭দিন পর পরীক্ষা করা হলে শতকরা ৯০ জনের ফলাফল সুনিশ্চিত হওয়া যায়।

বিএসএমএমইউ ভাইরোলজি বিভাগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, দাম কম, দ্রুত, কম প্রশিক্ষণ তবে শুধু একটাই সমস্যা ৭ দিনের আগে এটা পজিটিভ হবে না।

ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের কারা সুস্থ হয়ে ঝুঁকিমুক্ত জীবন যাপন করছেন সেটিও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব এই পদ্ধতিতে।

বিএসএমএমইউ মাইক্রোবায়োলজী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ বলেন, যদি কেউ ৫০ শতাংশ আক্রান্ত হয়ে গেছে, কিন্তু এখন তার উপসর্গ নেই তাহলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো কাজ করেছে এবং আগামীতে এক থেকে দেড় বছর আর তার এই রোগ হওইয়ার সম্ভাবনা নেই।

বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টির পরও এন্টি বডি টেস্টের কিট কিনতে বিলম্ব করা হলে পরবর্তীতে মানসম্পন্ন কিট পাওয়া কঠিন হবে। সারাদেশের আক্রান্ত দ্রুত খুঁজে বের করতে এন্টি বডি টেস্ট সর্বোত্তম বিকল্প বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.